বর্তমানে নতুন ব্যবসা শুরু করতে যাওয়া উদ্যোক্তাদের জন্য ড্রপ শিপিং মডেল একটি চমৎকার সুযোগ। একজন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি খুব সহজে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে একটি বিজনেস আইডিয়াকে পরীক্ষা করে নিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি যে পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী তা পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করে ব্যবসায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ নিতে পারেন। এই বিজনেস মডেলের নির্বাচিত সাতটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:

১. কম পুঁজির প্রয়োজন হয়

এই ধরনের ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল খুব সহজে একটি ই-কমার্স সাইট শুরু করা যায় কিন্তু এজন্য অনেক পুঁজির দরকার হয় না। সাধারণ ভাবে একটি দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করতে চাইলে ইনভেন্টরি ঠিক রাখতে বিশাল অংকের পুজি লাগে।

ড্রপশিপিং বিজনেস মডেলে একজন ক্রেতার কাছ থেকে পণ্যের মূল্য পেয়ে তা দিয়ে পণ্যটি কিনে সরবরাহের সুযোগ পাওয়া যায়। তাই পণ্যের জন্য নিজস্ব পুঁজি দরকার পড়ে না।

২. খুব সহজেই শুরু করা যায়

*এই ই-কমার্স বিজনেস মডেলে পণ্য কিনে সাজিয়ে রেখে প্রস্তুত হতে হয় না।এজন্য পণ্য রাখার গুদাম প্রয়োজন হয় না।

*প্যাকিং এবং শিপিং নিয়ে ভাবতে হয় না।

*হিসাবরক্ষকের কাজের জন্য ইনভেন্টরি ট্রাকিং জরুরী নয়।

*ফেরত পণ্য ব্যবস্থাপনার ঝামেলা নেই।

*পণ্য বিক্রয়ের অব্যাহত অর্ডারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে স্টক সংগ্রহ করা যায়।

৩. ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় অনেক কম

যেহেতু অনেক পণ্য কিনে ইনভেন্টরি করতে হয় না বা গুদাম মেইনটেইন করতে হয় না, তাই ব্যবসা পরিচালন খরচ অনেক কম হয়। অনেক সফল ড্রপ শিপিং স্টোর গৃহভিত্তিক ব্যবসা হিসেবে সফল হয়েছে।

৪. ব্যবসায়ের স্থান নির্বাচনের প্রয়োজন নেই

এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে নির্দিষ্ট কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থান এর প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে এটি প্রতিষ্ঠা করা যায় যেখানে শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। আপনি যদি অন্য সরবরাহকারী এবং ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে পারেন তাহলেই ড্রপ শিপিং ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব।

৫. পণ্যের ধরন নির্ধারণে সীমাবদ্ধতা নেই

যেহেতু আপনাকে আগে থেকেই পণ্য কিনতে হচ্ছে না তাই ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে অসংখ্য রকমের পণ্য বিক্রির জন্য উপস্থাপন করতে পারেন। সরবরাহকারীর স্টকে থাকলেই আপনার আর কোন সমস্যা নেই।

৬. খুব সহজে বাজার পরীক্ষা করা যায়

যে কোন ব্যবসা এর মডেল সুপরিচিত ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে শুরুতেই চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। ড্রপ শিপিং ব্যবসায় এটি খুব সহজেই করা সম্ভব। এই পরীক্ষা করতে গিয়ে আপনার অজানা অনেক কিছুই বুঝে নিতে পারবেন। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসাকে বড় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়।

৭. ব্যবসার পরিধি বাড়ানো সহজ

সাধারণ ব্যবসায় ক্রেতার চাহিদা বেড়ে গেলে তার সাথে তাল মিলিয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে হয়। এ জন্য বাড়তি পুঁজি ও জায়গার ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ড্রপ শিপিং ব্যবসায় পণ্য সরবরাহকারীদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে ম্যানেজ করতে পারলেই যে কোন পর্যায়ের চাহিদা সামাল দেয়া সম্ভব। আবার পরিস্থিতি অনুযায়ী পণ্য বিক্রি সীমিত করে নেওয়া খুব সহজ। প্রচলিত ব্যবসায় আগে কিনে রাখা পণ্যে যেভাবে ক্ষতি মেনে নিতে হয়, ড্রপ শিপিং ব্যবসায় এই বিড়ম্বনা নেই। পরিশেষে বলা যায়, ড্রপ শিপিং ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর বিষয় হচ্ছে একটি শক্তিশালী ই-কমার্স সাইট। এর Front-End সাবলীল হতে হয় পাশাপাশি Back-End হতে হয় অনেক শক্তিশালী। এমন ই-কমার্স সাইট অপেশাদারভাবে তৈরি হলে তা অনেক রকমের ভোগান্তি তৈরি করতে পারে। তাই শক্তিশালী ই-কমার্স সাইটের জন্য প্রতিষ্ঠিত ও পেশাদার প্রতিষ্ঠান, যেমন www.readyeshop.com এর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ব্যবসায় সফল হওয়া সহজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here